fbpx

একাদশমুখী রুদ্রাক্ষ

একাদশমুখী রুদ্রাক্ষঃ

এটি এক বিশেষ জাতের রুদ্রাক্ষ। এর নাম ‘মহামৃত্যুঞ্জয়’। মেয়েদের নানা অসুখের ক্ষেত্রে একান্তভাবেই সুফল প্রদানকারী, আত্মবিশ্বাসের অভাব ঘটলে, আত্মহননের চিন্তা, খিটখিটে স্বভাব, একগুয়ে প্রকৃতি, হঠকারিতা, মদ্যপায়ী, বেশ্যা সংসর্গী, শুক্র সমন্ধীয় পীড়াগ্রস্থ, বহুমূত্র, গনোরিয়া, আমাশয়, স্ত্রীলোকের বন্ধাত্ব দোষ, অম্লত্ব পিত্ত সংক্রান্ত ব্যাধি, পুরুষের পুরুষত্বহীনতা, স্ত্রী-বিয়োগ, প্রেমসংক্রান্ত ব্যাপারে আত্মহত্যা, কথায় কথায় তর্ক করা, বৃথা ভ্রমণ, নিঃসঙ্গতা, কালাজ্বর, শোথ রোগ, প্রতি কাজে বার বার বাধা, বুকের কষ্ট, অতিসার রোগ, মামলায় পরাজয়, বিবাহিত জীবনে অশান্তি প্রভৃতির হাত থেকে বিশেষভাবে মুক্তি এই রুদ্রাক্ষ ধারণে পাওয়া যায়।

এ ছাড়া আরও বহুবিদ গুনাগুণ বিদ্যমান যাহা জন্ম ছক বিচার সাপেক্ষে জানা সম্বব ।

শাস্ত্রমতে রুদ্রাক্ষ ধারণের বিধি ও ফলাফল বর্ণনা করা হল। শুদ্ধচিত্তে সঠিক ভাবে শোধন পূর্বক রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে অবশ্যই ফললাভ হবে। যেহেতু নকল রুদ্রাক্ষ দ্বারা প্রতারিত হবার আশঙ্কা আছে, তাই বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা করিয়ে অনুষ্ঠানাদির জন্য যোগ্য ব্যক্তির সাহায্য নেওয়া বাঞ্ছনীয়। শুভ তিথিযুক্ত দিনে শুভ সময়ে রুদ্রাক্ষ ধারণ বিধেয়। তিথির সঙ্গে শুভ নক্ষত্র যোগ দেখে নিতে হবে। এ বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের উপদেশ মেনে চলা উচিত। বাহুতে কিংবা কন্ঠে রুদ্রাক্ষকে শোধেনের মাধ্যমে উজ্জীবিত করে ভক্তিসহকারে ধারণের কথা শাস্ত্রে বলা হয়েছে। রুদ্রাক্ষ ধারণে খাওয়া খাদ্যের কোন বিচার করতে হয়না। সব ধর্মের নর নারী রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারবেন, রুদ্রাক্ষের সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই।